মোবাইল ব্যাংকিং নিরাপদ রাখতে ডিএমপির ৬ পরামর্শ - FOYSAL 360 (All IN ONE)

Breaking

Full-Width Version (true/false)

BANNER 728X90

Friday, April 30, 2021

মোবাইল ব্যাংকিং নিরাপদ রাখতে ডিএমপির ৬ পরামর্শ

 

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন করা নগদ টাকা পরিবহনকারীরা সন্ত্রাসীদের সফট টার্গেটে পরিণত হয়েছে। এছাড়া, অপরাধীচক্র প্রতারণার মাধ্যমে বিকাশসহ অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং পদ্ধতি ব্যবহার করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটছে। এ ধরনের দুর্ঘটনা ও ঝুঁকি এড়াতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কিছু পরামর্শ দিয়েছে।ডিএমপি বলছে, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু এজেন্ট বা ডিস্ট্রিবিউটররা টাকা লেনদেনের নীতিমালা ও নির্দেশনাগুলো যথাযথ পালন করেন না। 

কার্যক্রমকে ব্যবহার করে বিভিন্ন অপরাধী চক্র দেশের ভেতরে ও বাইরে থেকে চাঁদাবাজি করছে। অপরিচিত কারো সঙ্গে এই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শও দিয়েছে সিএমপি।

এক্ষেত্রে ডিএমপির ছয় পরামর্শ হলো-

১. এজেন্ট বা ডিস্ট্রিবিউটর নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুসরণ করে এজেন্টদের নাম ও ঠিকানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করা।

২. ঢাকা মহানগরী এলাকায় যেসব বিকাশ, ইউ ক্যাশ, মোবি ক্যাশসহ অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট বা ডিস্ট্রিবিউটর আছেন সেসব প্রতিষ্ঠানে উন্নতমানের সিসি ক্যামেরা (রাত্রিকালীন ছবি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন) স্থাপন করা।

৩. স্থায়ী দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়া এজেন্ট নিয়োগ না করা। এছাড়াও ব্যাঙের ছাতার মতো রাস্তাঘাটে, ফুটপাতে, গাছের নীচে অস্থায়ীভাবে চেয়ার-টেবিল বসিয়ে যত্রতত্র মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা না করা।

৪. এজেন্ট বা ডিস্ট্রিবিউটর নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুসরণ করে এজেন্টদের নাম ও ঠিকানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করা। আবেদনকারীদের নাম, ঠিকানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তথ্যগুলো পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ, কর্তৃক ভেটিং করানো।

৫. মোবাইল ব্যাংকিংয়ে গ্রাহকের হিসাব খোলার আবেদনের ক্ষেত্রে নো ইয়োর কাস্টমার (কেওয়াইসি) ফরম যথাযথভাবে পূরণ বাধ্যতামূলক করা। গ্রাহকের দেওয়া তথ্যগুলো ব্যাংক কর্তৃক সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রমের অনুমোদন দেওয়া।

৬. ক্যাশ আউটের ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিং সেন্টার থেকে যারা ক্যাশ আউট করবে (টাকা উঠাবে) তাদের ছবি, নাম-ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র, ফোন নম্বর গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় তথ্য রেজিস্টারে সংরক্ষণের ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সব এজেন্টদেরকে যথাযথ প্রশিক্ষণ ও সচেতনতমূলক নির্দেশনা দেওয়া।

No comments:

Post a Comment